প্রত্যয় ডেস্ক, চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ রাঙামাটিতে যুদ্ধপরাধীর অভিযোগে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তি দাাবী করে ও নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির কার্য্যলয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমি শাহিনা বেগম লংগদু উপজেলার ৩ নং গুলশাখালী ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। যুদ্ধাপরাধী মামলার অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমার মাথায় আঘাত, আমার স্বামীর হাতের রগ কেটে গুরুত্বর আহত করে । আমরা লংগদু চিকিৎসা করতে না পেরে রাঙামাটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।’
এই ঘটনায় লংগদু থানায় মামলা করতে গেলে রাজাকার আব্দুর রহিম এর নির্দেশে থানায় মামলা নেয়নি। পরে চীফ জুডিসিয়াল আমলী আদালতে ৭ জনকে আসামী করে সিআর মামলা নং-২৮৫/২০২০ ধারা দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩২৫/৩২৬/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬(২) ধারায় মামলাটি করা হয়। রহিম চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হাত পা কেটে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে । আমরা লংগদু গুলশাখালী রুসুলপুর গ্রামে নিজ বাড়ী ঘরে যেতে পারছি না। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহিন বেগম নির্বাচিত মহিলা মেম্বার, নাজিম উদ্দীন ব্যবসায়ী ও হোসেন আরা বেগম।
ঘটনার সুত্রপাত হয় গত ১৯ অক্টোবর ২০২০ ইং সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত দুঃস্থদের ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ কার্ড বিতরণের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিম চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লেলিয়ে দেয়া পোষ্য ৬/৭ জন সন্ত্রাসীঃ ১। আব্দলি গণি ২। বাবুল মিয়া ৩। জিল্লুর রহমান ৪। রেজাউল টেইলার ৫। হানিফ মিয়া ও ৬। হেলাল উদ্দীন গংরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলে শাহিনা ও নাজিমকে গুরুতর জখম করে।
ইতিমধ্যে মহিলা মেম্বার শাহিনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, আমার মা ফাতেমা বেগম এর পিতাকে ১৯৭১ সালে রহিম চেয়ারম্যান রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার দায়ে আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করেন। তখন থেকে রহিম চেয়ারম্যান বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাদের পরিবার পরিজনদের ওপর শাররীক, মানসিক অনৈতিক ভাবে হয়রানী ও ক্ষতি করে আসছে। যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য রহিম চেয়ারম্যান ১০ লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তাব করেছে । এসব ঘটনায় শাহিনা বেগম এর মা অপমান সহ্য করতে না পেরে হার্টঅ্যাটক করে মারা গেলে মামলাটি আর পরিচালনা করতে পারেনি। সেই রহিম চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের পদবী ব্যবহার করে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে ।